First slide

আসল এবং নকল পণ্য চেনার সহজ উপায়

আসল এবং নকল পণ্য চেনার সহজ উপায়
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল পণ্য বাজারে রয়েছে। প্রথম দেখায় কোনটি আসল পণ্য আর কোনটি নকল পণ্য তার মধ্যে পার্থক্য করা বেশ কঠিন।
এখানে আসল এবং নকল পণ্যের মধ্যে পার্থক্য বুঝার সহজ কিছু উপায় তুলে ধরা হলো।
ব্র্যান্ডের নাম এবং বানান: যেসব প্রতিষ্ঠান নকল পণ্য তৈরি করে তাদের ব্র্যান্ডের নামে প্রায়শই ভুল বানান থাকে। আর যেহেতু কোনো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের নামের অনুরূপে নাম দেওয়া হয় তাই অনেকেই প্রথম দেখায় নকল পণ্যটি বুঝতে ব্যর্থ হয় এবং সেটিকে ব্র্যান্ডেড বিবেচনা করে। তাই আসল পণ্য বুঝতে ব্র্যান্ডের নাম ও নামের বানান খেয়াল করা লাগবে।
মোড়কের বিস্তারিত তথ্য: ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যগুলোর প্যাকিংয়ে কোড, সিরিয়াল বা মডেল নম্বর, ট্রেডমার্ক এবং পেটেন্টের মতো কিছু বৈশিষ্ট্য দেয়। সাধারণত নকল পণ্যগুলোর মোড়কে এ ধরনের তথ্য থাকে না।
লোগো: প্রতিষ্ঠানের লোগো, ব্র্যান্ডের নাম এবং ট্রেডমার্কও পরিবর্তন করা থাকে নকল পণ্যে। ভালোভাবে পণ্য পর্যবেক্ষণ করে এই ভুলগুলো সহজেই লক্ষ্য করা যায়।
যোগাযোগের তথ্য: আসল প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যের প্যাকেটে পুরো ঠিকানা, ই-মেইল, ফোন নম্বর বা যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য থাকে। কিন্তু আপনি নকল পণ্যে এ জাতীয় তথ্য খুঁজে পাবেন না। যোগাযোগের তথ্য না দেওয়ার কারণ হলো পণ্য সম্পর্কে কেউ যেন অভিযোগ করতে না পারে। যোগাযোগের তথ্যবিহীন কোনো পণ্য কিনবেন না।
প্যাকিং: ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলো প্যাকিংয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। প্রথম নজরে, আপনি যদি প্যাকিংটি খারাপ দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে পণ্যটি নকল। এ জাতীয় পণ্য কেনা এড়িয়ে চলুন।
কোয়ালিটি: নকল পণ্যগুলোতে নিম্নমানের বিকল্প উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পণ্য ভেদে নিম্নমানের প্লাস্টিক, চামড়া, বাজে মানের কাপড় এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সে পুরোনো অথবা ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা করে থাকে।
অননুমোদিত শোরুম: ইলেকট্রনিক, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, গ্যাজেট, ব্র্যান্ডেড পোশাকের মতো দামি পণ্যগুলো সবসময় অনুমোদিত শোরুম থেকে কিননু। নকল পণ্য যারা তৈরি করে তারা খুব চালাকির সঙ্গে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে। তারা অননুমোদিত শোরুমের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে।

Comments 0

Leave a Comment. Required fields are marked*